মানুষ -- ভিন্ন চোখে মানুষের গল্প || শাহরিয়ার সোহাগ || পর্ব - ৮
গতকাল
রাতে তাহি, ইকি, টুকি, গুলু পশ্চিম বীচে ঘুমিয়েছিল। ইশি ছিল ওর মায়ের কাছে
গলাচিপাতে। সকালে ওর স্থানীয় কিছু বন্ধুদের চিল্লাচিল্লি আর ছুটোছুটিতে ঘুম
ভাঙ্গে ইশির। ওদের থেকেই জানতে পারে গলাচিপার কোরাল বীচের ওখানে ঘুমিয়ে ছিল কুচু।
সমুদ্র দেখতে আসা দুজন মানুষকে নিয়ে এই দ্বীপেরই আরেকজন মানুষ মোটারসাইকেলে করে
সমুদ্রপাড় দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার সময় সমুদ্রপাড়ে ঘুমন্ত কুচুকে চাপা দেয়।
মোটরসাইকেলের চাকা নাকি ওর গলার উপর দিয়ে উঠে গেছে। কুচুর চোখদুটো বড় বড় করে খোলা
আছে। জিহ্বাটা প্রায় এক লেজ সমান বেরিয়ে গেছে মুখ থেকে। মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে বালু
লাল হয়ে গেছে। গলা থেতলে গেছে। মোটরসাইকেল আর তিনটা মানু্ষের ওজন গেছে কুচুর গলার
উপর দিয়ে। না জানি রাতে ঘুমানোর সময় কি কি ভেবে ঘুমিয়েছিল। তবে ঘুম থেকেই আর উঠা
হলো না ওর। নিজের রক্তেই ভিজে আছে কুচু। মানুষের কাছে নিজের আর প্রিয়জনের জীবন
ছাড়া বাকি সব মানুষ, সব প্রাণীর জীবনই তুচ্ছ। এই কচুর কি দোষ ছিল? তাকে কেন অকালে
মরতে হলো? এই সমুদ্র কিংবা দ্বীপ তো মানুষের একার সম্পত্তি না। এক জায়গা থেকে
অন্য জায়গায় যাওয়া আসার জন্য মানুষ তো নিজের প্রয়োজনে রাস্তাও বানিয়েছে।
কুচুদের তো চলাচলের রাস্তা নেই, থাকার জন্য মাথার উপর ছাউনি নেই, ঝোঁপ জঙ্গলে,
রাস্তার পাশে কিংবা কারো বাড়ির পাশে অথবা এই সমুদ্র পাড়েই ওদের ঘুমাতে হয়। তবে
ওদের ঘুমানোর জায়গাটা কতটা নিরাপদ? অনেক বছর আগেই তো মানুষ আইন করেছে সমুদ্র
পাড়ে কোন গাড়ি চালানো যাবে না। সেই সমুদ্র পাড়ে গাড়ি চালিয়ে মানুষ অসংখ্য
প্রাণীদের মেরে ফেলছে, তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে। মানুষ যখন আইন মানবেই না, তবে
মানুষ আইন বানায় কেন? আর আইন বানালে মানতে বাধ্য করে না কেন? কচু হয়তো আকারে বড়,
চোখে দৃশ্যমান। তাই কুচুর মৃত্যুটা চোখে পড়েছে। আর সমুদ্র পাড়ের ছোট ছোট গর্তে
যে সব সামুদ্রিক প্রাণী বাস করে, মানুষ প্রতিনিয়ত সমুদ্র পাড়ে গাড়ি চালিয়ে
মেরে ফেলছে তাদের। ভেঙে ফেলছে তাদের ঘরবাড়ি। পান থেকে চুন খসলেই মানুষের
প্রতিবাদের শেষ নেই, অন্যের উপরে দোষ চাপানোর শেষ নেই। তবে এই দ্বীপের মানুষের
কাছে মানুষ ছাড়া অন্য কারোর জীবনের মূল্য নেই। তাই তো সে তার ইচ্ছামতই সবকিছু
করে। অথচ চাইলেই সবাই একসাথে সুন্দরভাবেই বেঁচে থাকা যেত। প্রতিটি সৃষ্টির পেছনে
সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য আছে। ঠিক তেমনি প্রতিটি সৃষ্টির বেঁচে থাকার পেছনেও সৃষ্টি
কর্তার উদ্দেশ্য আছে। মানুষ বাদে যদি অন্য কোন প্রাণীর দরকার না হতো তাহলে
নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে সৃষ্টি করতেন না। মানুষ প্রয়োজনে অনেক প্রাণীকে
মেরে ফেলে, খায়। সেটা মানুষ করতেই পারে। কিন্তু অপ্রয়োজনে কিংবা নেহাৎই খামখেয়ালিতে
যদি মানুষ কোনো প্রাণীকে মেরে ফেলে তাহলে তাকে সৃষ্টিকর্তার বিচারের মুখোমুখি হতেই
হবে। কুচুর আত্মীয়, বন্ধুদের চোখের পানি নিশ্চয় সৃষ্টিকর্তা উপর থেকে সব দেখছেন।
কুচুকে দেখতে অনেকে ভিড় করেছে। অনেকেই বলাবলি করছে ডাক্তারের কাছে নিলে হয়তো
কুচুকে বাঁচানো যেত। তবে সেই সামর্থ্য তো ওদের নেই। যে মানুষের মোটরসাইকেলের
অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে সে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে। কুচুর বন্ধুরা এসে ওই মানুষগুলোকে
ঘিরে ধরেছে। তবে শেষ রক্ষা হয় নি। আশপাশের কিছু মানুষ এসে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।
কুচুর বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজনের চিৎকারে মানুষগুলো বেজায় ক্ষেপেছে। পারলে তো
ওদের উপরও হামলা করে বসে। চোরের মায়ের বড় গলা। একে তো তাদের একজনকে মেরে ফেলেছে,
তার উপর আবার অন্যদের উপর হামলা করতে আসছে। কিছু মানুষ এসে ওদেরকে গালাগালি করছে।
ওদের জন্য নাকি মানুষেরা সমুদ্রে ঘুরতে পারে না, শান্তিতে চলতে পারে না। এমন একটা
ভাব করছে এই দ্বীপ যেন ওদের বাপে কিনে ওদেরকে উপহার দিয়েছে। সেখানে কুচু, ইশিরা
কেউ থাকতে পারবে না। গাড়ি চালানোর জন্য তো এই দ্বীপে রাস্তায় আছে। তারা রাস্তা
রেখে সমুদ্র পাড়ে মোটরসাইকেল চালাচ্ছে তাতে দোষ নেই, সরকারি যে আইন আছে সমুদ্র
পাড়ে কোন গাড়ি চলতে পারবে না সেসব মানার খোঁজ নেই। এখানে ঘুরতে আসা মানুষদের যাতায়াত, অপরিকল্পিত ভাবে বাড়িঘর, হোটেল তৈরি,
পরিবেশ দূষণ, মানু্ষের অসচেতনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের কারণে সেখানকার
প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্য ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানুষের কারণেই দ্বীপটির
প্রবাল, শৈবাল, সামুদ্রিক কাছিম, লাল কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুকসহ নানা জলজ প্রাণী এবং
জীব-বৈচিত্র্য এখন বিলুপ্ত হবার পথে। এই দ্বীপে যেকোনো ধরণের স্থাপনা গড়ে তোলার ব্যাপারে
সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেগুলো উপেক্ষা করেই গড়ে উঠছে একের পর এক রিসোর্ট, হোটেল,
মোটেল। ঘুরতে আসা মানুষদের চাহিদা পূরণে দ্বীপের ভূগর্ভস্থ সুপেয় মিঠা পানির
স্তরও নিচে নেমে গেছে। এ কারণে নলকূপ থেকে এখন লবণাক্ত পানি আসে। ইশিরা যে কুয়া
থেকে পানি খায় সেটাও শুকিয়ে যাচ্ছে। খেয়াল খুশি মত যেখানে সেখানে প্লাস্টিকের
বর্জ্য ফেলা, ভারী জেনারেটর চালানো, পাম্প চালানো, সমুদ্র থেকে পাথর তোলা, বালি
তোলা, কি করছে না মানুষ! পরিবেশ বিধ্বংসী সব ধরণের কাজই হচ্ছে এই দ্বীপটিতে।
প্রায় আট বর্গ কিলোমিটার জুড়ে থাকা এই দ্বীপটির স্থায়ী মানুষের সংখ্যা প্রায়
দশ হাজার। আর ঘুরতে আসা মানুষ মিলে প্রতিদিন দ্বিগুণ সংখ্যক মানুষের চাপ নিয়ে এই
দ্বীপের অবস্থা এক প্রকার মৃতপ্রায়। অতিদ্রুত ঘুরতে আসা মানুষের চাপ ঠেকানো না
গেলে এই দ্বীপের পরিবেশে ভারসাম্য ফেরানো রীতিমত অসম্ভব হবে। এই দ্বীপের
জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে দ্বীপটি যে কোন সময়ে সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে যার জন্য
একমাত্র মানুষ ই দায়ী হবে। মানুষের কোলাহল এবং সমুদ্রের পানি অতিরিক্ত দূষণের
কারণে দ্বীপের বহু উদ্ভিদ ও প্রাণী এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। দ্বীপটিতে এখনও যে
কয়টা জীবিত প্রবাল টিকে আছে, সেগুলো ধ্বংস হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সবচেয়ে বেশি
হুমকির মুখে পড়েছে সামুদ্রিক কাছিম। দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কিছু আইন ঘোষণা করা
হয়েছে। দ্বীপের চারপাশের সমুদ্রে সব
ধরণের প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা যাবে না। সমুদ্রপাড়ে কোনো ধরনের যানবহন চলাচল করা
যাবে না। দ্বীপের চারপাশে নৌ ভ্রমণ করা যাবে না। জোয়ার ভাটা এলাকায় পাথরের ওপর
হাঁটা চলা করা যাবে না। সামুদ্রিক কাছিমের ডিম পাড়ার স্থানে চলাফেরা, সমুদ্রপাড়ে
রাতে আলো জ্বালানো এবং ফ্ল্যাশ লাইট ব্যবহার করে ছবি তোলা, সমুদ্রপাড়ে রাতের বেলা
কোন প্রকাশ আলো বা আগুন জ্বালানো, আতশবাজি ও ফানুশ ওড়ানো যাবে না, মাইক বাজানো,
হৈ-চৈ বা উচ্চস্বরে গান বাজনা করা, বার-বি-কিউ পার্টি করা যাবে না। প্রবাল, শামুক,
ঝিনুক, সামুদ্রিক কাছিম, পাখি, তারা মাছ, রাজ কাঁকড়া, সামুদ্রিক ঘাস, সামুদ্রিক
শৈবাল এবং কেয়া ফল সংগ্রহ ও ক্রয় বিক্রয় করা যাবে না। জাহাজ থেকে পাখিকে চিপস ও
অন্য খাবার খাওয়ানো যাবে না। মজার কথা হলো এই আইনগুলো করেছে মানুষেরা। আর এই আইন
ভাঙছেও মানুষ।
মানুষের সৃষ্টি করা
যতগুলো সমস্যা এই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হতে পারে, সেগুলোর মধ্যে সমুদ্র দূষণ
একটা। অথচ একটা সময় ছিল যখন সমুদ্র ছিল মানুষের কাছে এক রহস্যের নাম। তবে আজ
সমুদ্রের প্রতিটি দ্বীপের অবস্থান মানুষের নখদর্পণে। এমনকি সমুদ্রের তলদেশ নিয়েও
মানুষের গবেষণার শেষ নেই। এ সত্ত্বেও সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধে মানুষ একদমই উদাসীন।
গত কয়েক দশক ধরে এই দূষণের মাত্রা অতিরিক্ত হারে বাড়ছে। তবে মানুষ যে
ইচ্ছাকৃতভাবে সমুদ্র দূষণ করছে তা কিন্তু নয়। বরং সভ্যতার উৎকর্ষতা সাধনে তাদের
খামখেয়ালিপনা এর জন্য দায়ী। মানে প্রত্যক্ষ বা পরক্ষ্য যেমনই হোক না কেন, মানুষ
ই দায়ী। বর্তমানে মাছ ধরার নৌকা, ঘোরার জন্য বড় বড় জাহাজ, তেলবাহী জাহাজ ও
অন্যান্য জলযান সমুদ্রে সরাসরি বিভিন্ন দূষণকারী পদার্থ ফেলছে। ১৯৭২ সালের আগে
সমুদ্র দূষণ নিয়ে পৃথিবীতে কোনো আন্তর্জাতিক আইন ও নীতিমালাই ছিল না। ফলে মানুষ
বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা সরাসরি সমুদ্রে নিক্ষেপ করতো। এমনকি তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে
সমুদ্রে তেজস্ক্রিয় পারমাণবিক বর্জ্য নিক্ষেপেও পিছপা হয়নি। সমুদ্রে অসংখ্য
প্লাস্টিক বোতল, ব্যাগ, বাক্স, যানবাহনের টায়ার, মাছ ধরার জাল, দড়ি ও অন্যান্য
প্লাস্টিক বর্জ্য দেখতে পাওয়া যায়। জোয়ারের পানির সাথে সমুদ্রপাড়ে অনেককিছুই
ফিরে আসে। মানুষ সমুদ্রগর্ভে ফেলেছিল যা, সমুদ্র যেন জোয়ারের সময়ে বমি করে সব আবার
মানুষের কাছে ফেরত দিয়ে যাচ্ছে। সেই বর্জ্যগুলো তার নিজের আকৃতিতে স্থায়ী না থেকে
একটা সময় স্রোত ও সূর্যরশ্মির কারণে ক্ষুদ্র কণায় রূপান্তরিত হয়। উক্ত ক্ষুদ্র
কণাগুলো মাইক্রো প্লাস্টিক নামেও পরিচিত। এর আকৃতি সাধারণত ৫ মিলিমিটার ব্যাসের
মধ্যে হয়ে থাকে। এত ক্ষুদ্রাকৃতির হওয়ার ফলে এগুলো পানিতে দ্রবীভূত হয়ে গেছে
বলে মনে হয়। তাই পানির উপরিভাগে ভাসমান অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও মাইক্রো প্লাস্টিক
অন্যান্য ভাসমান আবর্জনার মতো তুলে আনা অসম্ভব। নদী দূষণের শেষ পরিণতি সমুদ্র
দূষণ। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি শহর কোনো না কোনো নদীর তীরে অবস্থিত। প্রাচীনকাল
থেকেই সেই শহরগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নির্ভরশীল ছিল পার্শ্ববর্তী নদীর উপর। আর
এটাই ছিল মানুষের সবচেয়ে সহজ পন্থা এবং সবচে বড় আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। যুগের
পরিবর্তনে শহরগুলোতে উৎপাদিত বর্জ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে হাজার গুণ। বর্তমানে
শহরগুলোর গৃহস্থালি ও কলকারখানার বিপুল পরিমাণ বর্জ্য নিঃসরণ এবং পয়ঃনিষ্কাশন করা
হয় পার্শ্ববর্তী নদীতে। তবে নদী দূষণের মাধ্যমে সমুদ্র দূষণের দায় শুধুমাত্র
শহরগুলোর উপর বর্তায় না। মানুষ সমুদ্রকে ভাগাড়ে পরিণত করে অনেকগুলো ডেড জোন বা
মৃত অঞ্চল তৈরী করেছে। এটি সমুদ্রের এমন একটি এলাকা যেখানে অক্সিজেন ঘাটতির কারণে
কোনো প্রকার জলজ প্রাণী বাঁচতে পারে না। এ জাতীয় অঞ্চল সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো
ইউট্রোফিকেশন। এর দ্বারা পানিতে নাইট্রোজেন ও ফসফরাসের মতো অন্যান্য পুষ্টিকর
পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধির মাধ্যমে অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ার প্রক্রিয়া উদ্দেশ্য।
সাধারণত যেকোনো জলাধারে শৈবালের পরিমাণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়াকে
ইউট্রোফিকেশনের অন্যতম লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। শৈবাল পানির উপরিভাগে স্তর তৈরি করে
তলদেশে থাকা জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক জীবনচক্রে বাঁধা প্রদান করে। বর্তমানে সমুদ্রে
যত প্লাস্টিক সরাসরি নিক্ষেপ করা হয় তার প্রায় পুরোটার জন্য দায়ী মাছ ধরার নৌকা
ও জাহাজসমূহ। এগুলো থেকে প্রতিবছর প্রায় ৭ লক্ষ টন প্লাস্টিকের জাল, দড়ি, ফাঁদ ও
অন্যান্য মাছ ধরার সরঞ্জাম সমুদ্রে ফেলা হয়। ফেলে দেওয়া নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে ভেসে
বেড়ানো ঐসব মাছ ধরার সরঞ্জামের কারণে সমুদ্র দূষিত হওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার
জলজ প্রাণীর মৃত্যু ঘটায়। বিশেষ করে পানিতে ফেলে দেওয়া জালের সাথে জড়িয়ে গিয়ে
মারা যাওয়া প্রাণী প্রায়ই সমুদ্রের বুকে ভাসমান অবস্থায় কিংবা সমুদ্র সৈকতে
পড়ে থাকতে দেখা যায়।
.png)


No comments