Header Ads

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, কী আছে এতে || শাহরিয়ার সোহাগ

গাজায় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব, কী আছে এতে, shahriar Sohag, শাহরিয়ার সোহাগ, রাজনীতি, বিশ্লেষণ, বাংলাদেশ, বাংলা বসন্ত, সোহাগ এর লেখালেখি

প্রস্তাবে এরই মধ্যে বিরল সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল। তবে হামাসের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে তাদের ন্যায্য দাবি পূরণ হয়নি।

গাজায় যুদ্ধ অবসানে যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই প্রস্তাব দেন। এতে এরই মধ্যে বিরল সম্মতি জানিয়েছে ইসরায়েল।

তবে হামাসের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রস্তাবে তাদের ন্যায্য ও বৈধ দাবিগুলো পূরণ হয়নি। কী আছে এই প্রস্তাবে? বার্তা সংস্থা রয়টার্স এর বিস্তারিত তুলে ধরেছে:

প্রস্তাবের প্রথম ধাপে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির করার কথা বলা হয়েছে। এই যুদ্ধবিরতির প্রথম সপ্তাহে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ২৮ ইসরায়েলি জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেবে। বিনিময়ে, ইসরায়েল ১,২৩৬ ফিলিস্তিনি বন্দি এবং ১৮০ জন মৃত ফিলিস্তিনির দেহাবশেষ ফেরত দেবে।

যুদ্ধবিরতির প্রতিটি শর্ত বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং মধ্যস্থতাকারী দেশ মিশর ও কাতার। হামাস যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নেওয়ামাত্র গাজায় মানবিক ত্রাণ সহায়তা পাঠানো শুরু হবে।

এই সহায়তা কোনও বিতর্কিত সংগঠন নয়, বরং জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট ও অন্যান্য স্বীকৃত সংস্থা সরবরাহ করবে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বৃহস্পতিবারেই নিশ্চিত করেছেন যে, তিনি এই প্রস্তাবে রাজি।

ওদিকে, হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আপত্তি জানালেও বলেছে, তাদের নেতারা নতুন প্রস্তাবটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করে দেখছে। শুক্রবার কিংবা শনিবারেই নেতারা এ বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবেন।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়ে গেলে হামাস অবশিষ্ট ৫৮ ইসরায়েলি জিম্মির শেষ ৩০ জনকে মুক্তি দেবে।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত। অর্ডার করতে ক্লিক করুন

ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাজায় সব সামরিক অভিযান বন্ধ করবে এবং পর্যায়ক্রমে তাদের সেনা পুনর্বিন্যাস করবে।

তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গভীর মতবিভেদের কারণে আগের এ ধরনের নানা উদ্যোগ ব্যর্থ হয়েছে।

ইসরায়েল বলেছে, যুদ্ধ বন্ধ হতে হলে হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্র হতে হবে। হামাসের শাসন ও সামরিক কাঠামো নির্মূল হতে হবে এবং হামাসের হাতে বন্দি ৫৮ জিম্মির সবাইকে ফিরিয়ে দিতে হবে।

কিন্তু হামাস এইসব শর্ত প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, ইসরায়েলকে গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যুদ্ধ বন্ধের অঙ্গীকার করতে হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলায় প্রায় ১,২০০ মানুষ নিহত এবং ২৫১ জন জিম্মি হয়।

এর জবাবে ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ শুরু করে। ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে- ৫৪,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ভূখণ্ডটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.