মানুষ -- ভিন্ন চোখে মানুষের গল্প || শাহরিয়ার সোহাগ || পর্ব - ৭
ইশি দৌঁড়ে এসে জাকিরের দোকানের আশেপাশে ওর বন্ধুদের খুঁজছে।
খুঁজেও পেলো। জাকির তখনো দোকান খোলেনি। জাকিরের দোকান থেকে একটু দূরেই
সমুদ্রপাড়ে বসে তাহি, ইকি, টুকি গোল হয়ে বসে গল্প করছে। একটু দূরে গুলু পানিতে
লাফালাফি করছে। সকাল সকাল ওরে ভুতে ধরেছে মনে হয়। ইশি এসে ওদের পাশে বসলো। ইশিকে
এভাবে হাঁপাতে দেখে, ওর চোখে মুখে চিন্তার ভাঁজ দেখে বন্ধুরা সবাই ওদের গল্প বাদ
দিয়ে ওকে ঘিরে বসলো। গুলুও পানি থেকে উঠে এসে বসলো ওদের সাথে। সবাই ইশির দিকে
তাকিয়ে। ইশির ধড়ফড়ানিটা একটু কমলে সে নিজে থেকেই সব বলবে। ইশির ধড়ফড়ানি যত কমছে
ওর চোখ দুটোর ছলছলানি ততই বাড়ছে। চোখের লাল ভাব আর পানি দুটোই বাড়ছে।
তোর কি হয়েছে রে? এভাবে দৌঁড়ে এসে এতক্ষণ হাঁপাচ্ছিস। চোখ দুটো
লাল হয়েছে পানিতে ছল ছল করছে। কি হয়েছে তোর? বল তো আমাদের। কেউ কিছু বলেছে? কোনো
শালা যদি তোরে কোনো কিছু বলে, তাইলে শুধু বল। আমরা চার বন্ধু গিয়ে ওরে কামড়াই
মেরে ফেলবো। আমাদের বন্ধুর সাথে ফাজলামি। - উত্তেজিত হয়ে গেল ইকি।
আরে তুই থাম তো। ইশি তুই বলতো কি হয়েছে? - ইকিকে থামিয়ে নরম সুরে
ইশিকে জিজ্ঞেস করলো তাহি। আমার এলাকার কুচুকে চিনিস না তোরা? - মুখ খুলল ইশি।
হ্যাঁ, চিনি তো। কি হয়েছে ওর? নাকি ও তোরে কিছু বলেছে? -
প্রশ্ন করলো টুকি।
: আমার ঘুম ভাঙতেই দেখি অনেক চিল্লাপাল্লা হচ্ছে। সমুদ্রপাড়ের
দিকে এগোতেই দেখি অনেক জটলা হয়ে আছে। এগোতেই দেখি মানুষ আমাদের অনেকের সাথে
কাইজ্জা করছে। আমাদেরকে মারতে তেড়ে আসছে। জুবু আর দিচুও চিৎকার করতে করতে
মানুষগুলোর দিকে তেড়ে যাচ্ছে। দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান। কাছে যেতেই দেখলাম কচু
রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে। জানতে পারলাম ঘুরতে আসা দুটো মানুষ নিয়ে এক
মোটরসাইকেলয়ালা এই সাত সকালে সমুদ্র পাড় দিয়ে যাচ্ছিল। একটা বড় শৈবালের পাশে
ঘুমিয়ে ছিল কুচু। মোটরসাইকেলয়ালা গিয়ে কুচুর গায়ের উপর গাড়ি তুলে দিছে।
ওই মানুষের বাচ্চা রাস্তা রেখে সমুদ্রপাড় দিয়ে কেন গাড়ি চালায়ে
যাবে? রাস্তা না হয় ওর বাপে বানাইছে, সমুদ্র আর সমুদ্র পাড়ও কি ওর বাপে বানাইছে?
চলাচলের জন্য তো ওদের রাস্তা আছেই। নাকি পুরো দ্বীপটা ওদের বাপ দাদার সম্পত্তি বলে
মনে করে? - ক্ষোভে ফেটে পড়ছে ইকি।
তারপর কি হয়েছে রে? - জানতে চাইলো গুলু।
: তিনজন মানুষ, সেই সাথে মোটরগাড়ি, একেবারে তো কম ওজন না। গাড়ি
উঠায় দিছে কুচুর মাথার উপর দিয়ে। ওর মাথা পুরো থেতলে গেছে। সাদা বালিগুলো লাল
হয়ে গেছে। আমি যখন দেখে আসলাম তখনো বেঁচে ছিল। মুখ থেকে জিহবটা বের হয়ে গেছে।
হাত-পা নাড়িয়ে কাঁতরাচ্ছে। চোখ দুটো বড় বড় করে শেষবারের মতো প্রিয় মুখগুলো
দেখছে মনে হলো। আমি তোদের ডাকতে এলাম। চল শেষবারের মতো ওরে একটু দেখে আসি।
সব বন্ধুরা মিলে একসাথে দৌঁড়ে কুচুকে দেখার জন্য গেল। অনেকের
জটলা। একটা থমথমে অবস্থা। সবার ভিড় ঠেলে সামনে এগিয়ে গেল ওরা বন্ধুরা। কুচুর
রক্তাক্ত নিথর দেহটা পড়ে আছে। মাথাটা এমন ভাবে থেঁতলে গেছে চেনার উপায় নেই।
বালুগুলোও লাল হয়ে আছে। জোয়ারের পানি বাড়লে ধুয়ে নিয়ে যাবে তা। কুচুর মা আর
ছোটভাইটা কুচুর পাশে বসে গুঙরে গুঙরে বিলাপ করছে। প্রিয়জন হারানোর কষ্টটা সবারই
আছে, সেটা মানুষ হোক বা অন্য প্রাণী। সবার রক্ত লাল, প্রিয় মানুষের জন্য সবারই
অনুভূতি আছে। সবার পরিবার আছে। সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। পার্থক্যটা হলো সবার ভেতরে
দয়ামায়াটা এক রকম না। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের মধ্যে নির্দয়, নিষ্ঠুর ভাবটা বেশি।
নিজের বাপ, ভাইকেও স্বার্থের জন্য খুন করতে মানুষ দুইবার ভাবে না। আর কুচু তো
মানুষই না।
কেউ কেউ বলাবলি করছে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারলে, একটু
চিকিৎসা পেলে কুচু হয়তো বেঁচে যেত। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে ওদের আপত্তিও নেই।
ওরাও চায় নিয়ে যেতে। তবে এই দ্বীপে কুচুর চিকিৎসা করবে এমন ডাক্তার তো নেই। যারা
কুচুকে চাপা দিয়ে এভাবে নির্মমভাবে মেরে গেছে তারা তো সেই ডাক্তারেরই জাত ভাই।
পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়ে ঠিকই তারা ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। ডাক্তার
তাদেরকেই চিকিৎসা করবে। অনেক ডাক্তার তো এমনও আছে যারা টাকা না দিলে নিজের
স্বজাতিকেও ফ্রিতে চিকিৎসা করবে না। সেখানে ফ্রি ফ্রি কুচুর চিকিৎসা করার মত এতটাও
মানবিক না এই মানুষগুলো। মানুষের মানবিকতা উপচে পড়ে ইউটিউব, ফেসবুকে, বিভিন্ন
ব্লগ ভিডিওতে। ক্যামেরার সামনে মানুষ যতটা মানবিক, ক্যামেরার পেছনে ঠিক তার
উল্টোটা। সবই মানুষ দেখানো, অন্য মানুষের কাছে উদার-মহানুভব-দয়ালু বাহবা পাওয়ার
জন্য। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সর্বশ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। তবে এই
সর্বশ্রেষ্ঠ খেতাবটার জন্য মানুষ কিছুই করেনা। এটা তাদের বাপ দাদার সম্পত্তির মত
বংশ ক্রমে তারা সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে আসছে।
সান্ত্বনা দেবার ভিড় কমতে থাকলো। যে যার মত নিজের কাজ, খাবারের
সন্ধানে বেরিয়ে পড়লো। জাহাজ আসার সময় হয়ে আসছে। তাই সবার মধ্যে তোড়জোড় শুরু হয়ে
গেছে। শেষমেষ ওরা বন্ধুরাও চলে গেলো। নিথর কুচুর পাশে ওর ছোট ভাইটা তখনো গুঙরে
কাঁদছে। কুচুর মা পাথর হয়ে আছে, সমুদ্র পাড়ের বড় পাথরের মত। নড়াচড়া নেই। ফ্যাল
ফ্যাল করে নিজের ছেলেটার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রিয়জন হারানোর কষ্টটা সব প্রাণের
ভেতরেই আছে। অনেকে সান্তনা দেয়, আশ্বাস দেয়। তবে সেটা মু্খের কথা, কাজের কথা না।
জোয়ার ভাটার খেলায় কুচু হয়তো গভীর সাগরে হারিয়ে যাবে। কুচুর মা হয়তো সমুদ্রের
প্রতিটা ঢেউ গুনে তার ছেলের ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করবে। মায়ের মন তো। পেটের
সন্তানকে কি আর ভোলা যায়!
ওদের সব বন্ধুর মন খারাপ কুচুর জন্য। নির্দোষ একটা প্রাণ এভাবে
প্রাণহীন হয়ে গেলো মানুষের দোষে। তাদের মধ্যে তবুও কোনো অনুশুচনা নেই। চোরের মায়ের
বড় গলা। নিজেরা দোষ করবে আর দোষ চাপাবে আল্লাহর সৃষ্টি বাকি সতের হাজার নয়শো
নিরানব্বইটা প্রাণীর উপর।
দুচারটা মানুষরে যদি একটু কামড়াতে পারতাম, শান্তি লাগতো। - রাগে ফস
ফস করছে ইকি।
এত রাগ দেখিয়ে কি হবে। সেই মানুষের দয়া নিতেই তো যাচ্ছি। - উত্তর
দিলো ইশি।
মানুষ তো ধর্ম মানে। তাহলে কি ওরা জানে না সবার সৃষ্টিকর্তা একই।
সব সৃষ্টির মাঝে স্রষ্টা লুকিয়ে থাকে। তাদের কাছে আমাদের হক আমাদের খাবার রাখা
আছে। - কথাগুলো বলছিল গুলু।
আমার মাথায় একটা আইডিয়া আসলো। - বললো ইকি।
কি আইডিয়া? - প্রশ্ন করলো তাহি।
যার কাছে ক্যামেরা আছে, যে দেখবি ছবি তুলছে, কিংবা ক্যামেরার সামনে
বকবক করছে, মানে ব্লগার, তার কাছে গিয়ে চারদিন না খেয়ে থাকার ভং ধরবি। সে একটু
আদর করার চেষ্টা করবে, চুপচাপ তাকে আদর করতে দিবি। তাকে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করবি।
তারপর ছবি তোলার জন্য হলেও কিংবা আমাদের খাবার খাওয়ানো তার ভিডিওটা ভাইরাল করার
জন্য হলেও সে আমাদের খেতে দেবে। আজব এক জন্তু হচ্ছে এই মানুষ। নিজেই নিজেরে ভাইরাল
করার জন্য উঠে পড়ে লাগে। ওসব আমাদের ভেবে লাভ নেই। ও যদি আমাদের মাথায় কাঁঠাল
ভেঙে খাওয়ার চেষ্টা করেই, তাহলে ওর পকেটের টাকা খরচ করে আমাদের খাইতে কি সমস্যা?
- ইকির এই চালাকিতে তো সবাই অবাক। প্লানটা সবার মনে ধরেছে।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছিস। দেখি, আজকে ক্যামেরা হতে কাউকে দেখলে
দান মারার চেষ্টা করবো। - ইকির প্লানে সাই দিলো টুকি।
লেগে থাকতে হবে। ভিডিওতে সে কখনো আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করবে
না। তাহলে তো তার ভিউ কমে যাবে। তার ভিউ বাড়ানোর জন্য হলেও সে আমাদের সাথে ভালো
ব্যবহার করবে। আমাদেরকে খাইতে দেবে। ওই সুযোগটাই সিস্টেমে কাজে লাগাতে হবে। -
আবারো যোগ করলো ইকি।
ওদের সবার পেট চো চো করছে। যেন পেটের ভেতরে ইঁদুরের বাচ্চারা মিছিলে স্লোগান দিচ্ছে। সকালে তো জাকিরের দোকানে কিছু খেতে পেরেনি। তারপর তো সবাই মিলে গেলো কুচুকে দেখতে। ওদের তো ফ্রিজও নেই, ব্যাংক ব্যালেন্সও নেই। যখনকারটা তখনই খেতে হবে। পরে খাওয়ার জন্য যে রেখে দেবে সেই জায়গাও নেই। জেটিঘাটে মানুষের ভিড়ে এরা যে যার মত খাবারের ধান্দায় ঘুরছে। ওদের খিদে লাগার ভং ধরে অভিনয় করতে হচ্ছে না। ওরা সত্যি সত্যিই ক্ষুধার্ত। দূরে জাহাজ দেখা যাচ্ছে। পাড়ে দাঁড়ানো মানুষগুলোর থেকে কোনো খাবার পায় নি ওরা, আজকে দুপুরের জন্য জাহাজের মানুষগুলোই ভরসা।
এই দ্বীপে ঘুরতে আসা মানুষগুলো যেভাবে এই দ্বীপ দূষিত করে তাতে
কয়েকবছরের মধ্যেই এই দ্বীপ তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলবে। সামুদ্রিক কাছিমগুলো ডিম
পাড়ার জন্য নিরাপদ জায়গা চায়। যেখানে মানুষের সমাগম নেই সেখানে কাছিমগুলো ডিম
পাড়ে। কিন্তু ঘুরতে আসা মানুষদের অবাধ আনাগোনার কারণে কাছিমগুলো ডিম দিতে পারে না।
ঠিক একইভাবে অন্যান্য জলজ, স্থল এবং জীববৈচিত্র্যের জন্যেও ক্ষতি হবে। এই দ্বীপে
৬৮ প্রজাতির প্রবাল, ১৫১ প্রজাতির শৈবাল, ১৯১ প্রজাতির কড়িজাতীয় প্রাণী, ৪০
প্রজাতির কাঁকড়া, ২৩৪ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ, ৫ প্রজাতির ডলফিন, ৪ প্রজাতির উভচর
প্রাণী, ২৮ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী, ১২০ প্রজাতির পাখি, ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী
প্রাণী, ১৭৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির বাদুড়সহ নানা প্রজাতির প্রাণীর বসবাস
ছিলো। এসব প্রাণীর অনেকগুলোই এখন বিলুপ্ত বা বিলুপ্তির পথে। জলবায়ু পরিবর্তন আর
পানি ও পরিবেশ দূষণের কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এ জীববৈচিত্র্য।
সারা পৃথিবীতে প্রতি বছর
প্লাস্টিক ব্যাগ বর্জ্য ৫০ হাজার কোটি। প্রতি বছর ৮৩০ কোটি প্লাস্টিক ব্যাগ ও
প্লাস্টিকের টুকরা মানুষ অসচেতনভাবে সমুদ্রসৈকতে ফেলছে। এমনটা চলতে থাকলে খুব
দ্রুতই সমুদ্রে মাছের সংখ্যার চেয়ে প্লাস্টিকের দ্রব্য ও কণার সংখ্যা বেশি
হবে। বর্তমানে সমুদ্র থেকে আহরিত প্রতি তিনটি মাছের মধ্যে একটি মাছের পেটে
প্লাস্টিকের দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে। প্লাস্টিকের দ্রব্যের মধ্যে মাইক্রোবিডস থাকে,
যা সহজেই পরিবেশ দূষণ করতে পারে। এসব মাইক্রোবিডস মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের
অন্যান্য জীবের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্লাস্টিক বর্জ্য পোড়ানোর ফলে অদৃশ্য
মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা ভয়ংকরভাবে বায়ুদূষণ ঘটায়, যা নিঃশ্বাস ও প্রশ্বাসের সঙ্গে
মানুষ সহ সব প্রাণীর ফুসফুসে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এই ছোট দেশেই প্রতিদিন
আট লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়। প্লাস্টিক উৎপাদনের রাসায়নিক পদার্থ মানুষসহ
অন্যান্য জীবের হরমোনাল সিস্টেম নষ্ট করে শুক্রাণু ও ডিম্বাণু উৎপাদন মারাত্মকভাবে
ব্যাহত করে। এছাড়া প্লাস্টিক বর্জ্য নিঃসৃত এসব রাসায়নিক পদার্থ স্নায়ুতন্ত্র এবং
মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে নানা রকম রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ন্যানো
প্লাস্টিক বর্জ্য এবং প্লাস্টিক বর্জ্য নিঃসৃত রাসায়নিক পদার্থ জীবের শরীরের নানা
ক্ষতিকর পরিবর্তন করতে পারে এবং ক্যান্সারসহ নানা রকম দুরারোগ্য ব্যাধির কারণ হতে
পারে। মাইক্রো, ন্যানো ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিঃসৃত মারাত্মক ক্ষতিকর রাসায়নিক
পদার্থ ফসল উৎপাদন, হাঁস-মুরগি, ডিম ও মৎস্য উৎপাদনে কতটা প্রভাব ফেলছে, এ বিষয়ে
আমাদের ধারণা অস্পষ্ট। এমনকি মানুষ যেসব কৃষিজাত খাবার খাচ্ছে, তার মধ্যে
প্লাস্টিক ন্যানো কণা ও প্লাস্টিক বর্জ্য নিঃসৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের
উপস্থিতি আছে। প্লাস্টিক দূষণ মানুষের স্বাস্থ্য, প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য,
উন্নত জীবনযাপন এবং নিরাপদ খাদ্যের জন্য এক বিরাট হুমকি।
.png)


No comments