বাঁধ নাটকে অভিনয় করেছেন শাহরিয়ার সোহাগ
২০১৪ সালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর দেশব্যাপী সাহিত্য নির্ভর নাট্য রচনা ও নির্মাণ কর্মসূচির আওতায় শওকত ওসমানের "ওই বাঁধে" গল্প অবলম্বনে নাট্যজন মোহাম্মদ বারীর "বাঁধ" নাটকটি অংখ্যবার মঞ্চস্থ হয়েছে শিল্পকলা একাডেমীর মূল মঞ্চে সহ বাংলাদেশ ও ভারতের বহু মঞ্চে। নাটকের গল্পে দেখা যায়, নদী তীরবর্তী প্রান্তিক এক কলহপূর্ন জনপদ হলো নিয়ামতনগর। এক মধ্যরাতে প্রলয়নকারী বন্যায় বিপর্যস্ত নিয়ামতনগরের মানুষ আশ্রয় নেয় জেলা বোর্ডের বিলীনপ্রায় বাঁধে। এই বাঁধেও বিভক্তির রেখা টেনে উত্তর ও দক্ষিণপাড়ার মানুষ আশ্রয় নেয় বাঁধের দুই প্রান্তে। তবে ক্রমাগত বাঁধ ভাঙার ফলে একসময় দুই পাড়ার মানুষ এক জায়গাতে চলে আসে। তবে সেখানেও তাদের ঝগড়া বিবাদ চলতে থাকে। এরই মধ্যে বন্যার পানি বেড়ে পুরো বাঁধ যখন বিলীন হওয়ার উপক্রম, তখনও এমন অযৌক্তিক বিরোধের মীমাংসা ঘটে না। অবশেষে বানের জলে ভেসে যাওয়া পিঁপড়ার দল থেকে শিক্ষা নেয় যে জীবনে বাঁচতে হলে ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায়ই এমন বন্যা দৃশ্য চোখে পড়ে। এই দুর্গতি নেপথ্যের কারণ ভারত থেকে বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া। নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা এবং এ সম্পর্কিত চুক্তি নিয়ে রাজনৈতিক ব্যর্থতার খতিয়ান টুকুই এই নাটকের শুরুর দৃশ্যে বলা হয়েছে। আমজনতার মাঝে অজ্ঞতা আর দ্বন্দ্বের বীজ বপনকারীরা কিভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি উদ্ধার করে সেই সমীকরণটি অপ্রকাশিত রইল না। সংকট মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর সংকট মোকাবেলায় মানুষের চিন্তা ও কর্মের ঐক্য সর্বোত্তম সমাধান। চিন্তা চেতনার অনৈকের দায়ে বাংলাদেশ যে ভয়াবহ উগ্রবাদের বিভীষিকা মোকাবেলা করছে তা ই তুলে ধরা হয়েছে এই বাঁধ নাটকে। এই নাটকে শাহরিয়ার সোহাগ ছাড়াও আরো অভিনয় করেছেন নাট্যাঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ মোহাম্মদ বারী, একে আজাদ সেতু, তৌফিকুল ইসলাম, এহসানুর রহমান, বাকার বকুল, সাইফ সুমন, হাসনাত রিপন, এজাজ বারী, কাজী রাকিব, কান্তা জামান, মেরিনা মিতু, মিন্টু সর্দার, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
No comments