Header Ads

বিএনপি কেন দোটানায় || শাহরিয়ার সোহাগ

 

বিএনপি কেন দোটানায়, Shahriar Sohag, শাহরিয়ার সোহাগ, romantic bangla poem, bangla poem for love, small bangla poem, sh

কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার দায় নিতে চায়নি বিএনপি। সে কারণে এনসিপিসহ বিভিন্ন দলের আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির ক্ষেত্রে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের অনেকে বলে আসছিলেন, তারা দল নিষিদ্ধের পক্ষে নন। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার হচ্ছে, সেই বিচারে বা আদালতের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে ছিল বিএনপি। এছাড়া জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে, দলটির নেতারা এমন বক্তব্যও দিয়ে আসছিলেন। শেষপর্যন্ত এনসিপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন দলের আন্দোলনের মুখে যে প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করেছে, সেই প্রক্রিয়া নিয়েও বিএনপি নেতাদের অনেকে আপত্তি ছিল। তারা মনে করেন, ওই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলার বা বিতর্ক সৃষ্টির সুযোগ আছে। তবে সেই আন্দোলনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বিবৃতি দিয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে যাতে কোনঠাসা করার সুযোগ না থাাকে, এ ধরনের চিন্তা থেকে ওই সমর্থন দেওয়া হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানান। তাদের এ অবস্থান নিয়েও অনেকে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা বলছেন, তাদের দল দোটানায় ছিল না। পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে তারা পদক্ষেপ নিয়েছেন।


'বিভক্তির জায়গায় পক্ষগুলো আবার এক হয়েছে'

ক্ষমতায় যাওয়া, বিরোধী দলের আসনে বসা বা ক্ষমতার সঙ্গে থাকার চিন্তা কাজ করছে যে দলগুলোর মধ্যে, এ দলগুলোর বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে মনে হয়েছে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় তাদের ভেতরে লাভ-ক্ষতির নানা সমীকরণ চলছে। তবে দলগুলোর নেতারা আনুষ্ঠানিক কথায় তা স্বীকার করতে রাজি নন। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিবিসি বাংলাকে বলেন, পরিস্থিতিটাকে তারা লাভ-ক্ষতির হিসাবে ফেলতে চান না। তারা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান, সেই অবস্থানেই তারা রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখার বিষয়টি স্বীকার করে জামায়াতে ইসলামী। এখানে দলীয় লাভের বিষয় নেই। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ আদালতে এসেছে; জাতিসংঘও বলেছে। এছাড়া মানুষেরও আকাঙ্ক্ষা ছিল। এ কারণে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হয়েছে এবং সব দল তা সমর্থন করেছে। ফলে কারও একক লাভের বিষয় নেই।

এদিকে, সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সহ বিভিন্ন ইস্যুতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে বিভক্তি দৃশ্যমান হচ্ছিল কিছুদিন ধরে। এখন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে সেই বিভক্তির জায়গায় পক্ষগুলো আবার এক হয়েছে বলে দাবি করছে এনসিপি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সব অংশীজন বা সব দলের ঐক্য একটা পরিণতি পেলো আওয়ামী লীগ ইস্যুতে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে একটা বার্তাও গেলো। এটিই লাভের বিষয়।

No comments

Powered by Blogger.