Header Ads

বাংলাদেশের রাজনীতি মোড় নেবে কোনদিকে || শাহরিয়ার সোহাগ

 

রাজনীতি মোড় নেবে কোনদিকে, Shahriar Sohag, শাহরিয়ার সোহাগ, romantic bangla poem, bangla poem for love, small bangla poem, sh

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই রাজনীতিতে নানা সমীকরণ বা মেরুকরণের কথা শোনা যাচ্ছিল। এনসিপি, জামায়াত এবং ইসলামপন্থী দল ও সংগঠনগুলোরই নানামুখী তৎপরতা বেশি দেখা গেছে। এখন রাজনীতিতে এবং ভোটের মাঠেও আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ না থাকায় সক্রিয় দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে।

এসব দলের পক্ষ থেকে কখনো বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দাঁড়াতে আলাদা নির্বাচনি জোট করার চেষ্টা আলোচনায় আসছে। আবার এনসিপিসহ এসব দল বিএনপির সঙ্গেই নির্বাচনে আসন সমঝোতার প্রশ্নে আলোচনা চালাচ্ছে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে রাজনীতি কোন দিকে মোড় নিচ্ছে- এই প্রশ্নের জবাব দৃশ্যমান হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। নির্বাচন লক্ষ্য করে এখন দলগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। তবে কে কার সঙ্গে ঐক্য বা জোট করবে, তা এখনই বলা মুশকিল।

বিএনপিসহ অন্য দলগুলোর বক্তব্যও একইরকম। তারা বলছে, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা হলে সে পর্যায়ে দলগুলোর অবস্থান দৃশ্যমান হবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলে আসছে।

কিন্তু সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেওয়া হবে কি না-এ প্রশ্নে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের মধ্যে নতুন করে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে কথা বললে তারা সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথাও বলছেন। বিএনপি এবং এর মিত্র বিভিন্ন দল ও জোট শুরু থেকেই নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করে আসছে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের বয়স নয় মাস পার হলেও কোনো রোডম্যাপ তারা দেয়নি। ফলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের মুখের কথাকে আস্থায় নিতে পারছে না দলগুলো। এখন সেই আস্থার অভাব, সন্দেহ আরও বেড়েছে। জামায়াত ও বিভিন্ন ইসলামি দল অবশ্য সরকারের মুখের কথায় বিশ্বাস রাখার কথা বলছে। আর এনসিপি সংস্কার না হলে নির্বাচন নয়, আগের এই অবস্থানের কথাই এখনো বলছে।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, নির্বাচন দ্রুত করার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি এখনই দৃশ্যমান করা প্রয়োজন, সে ধরনের কিছু তারা দেখছেন না। বরং এ সরকারের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার ইঙ্গিত প্রকাশ পাচ্ছে অনেক কর্মকাণ্ডে। সে কারণে রাজনীতি বাদ দিয়ে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে কি না, এমন সন্দেহও তৈরি হয়েছে বিএনপির নেতাদের অনেকের। তাদের এ সন্দেহ বেড়েছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার ঘটনার প্রেক্ষাপটে।

কারণ বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের নেতাদের অনেকে বিশ্বাস করেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করার দাবিতে যে আন্দোলন করা হয়, এরসঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্তের যোগসূত্র থাকতে পারে। আর সেজন্যই নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিএনপি নেতাদের অনেকের। নির্বাচন কবে হবে, সেই প্রশ্নে নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া এবং ঘটনাপ্রবাহসহ পরবর্তী পরিস্থিতিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন এক পরিস্থিতি বলেও বর্ণনা করছেন রাজনীতিকদের অনেকে।

No comments

Powered by Blogger.