Header Ads

আওয়ামীলীগ নির্বাচন থেকে বাদ পড়ায় কাদের সুবিধা হলো || শাহরিয়ার সোহাগ

আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে বাদ পড়ায় কাদের সুবিধা হলো, Shahriar Sohag, শাহরিয়ার সোহাগ, romantic bangla poem, bangla poem for love, small bangla poem, sh

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ দল হিসেবে নির্বাচন থেকে বাদ পড়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে রাজনীতিকদের অনেকে বলছেন। দলটি কার্যত নিষিদ্ধ হওয়ায় কার লাভ হলো কিংবা কার লোকসান হলো- এই হিসাবনিকাশও চলছে।

প্রশ্ন উঠছে, রাজনীতির মোড় কোন দিকে ঘুরছে বা কী ধরনের মেরুকরণ হচ্ছে? লাভ-লোকসানের হিসাবনিকাশের আলোচনায় দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে সক্রিয় দলগুলোর মধ্যে লাভের খাতায় নাম আসছে বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলনে নিয়ন্ত্রণ ছিল এনসিপি এবং জামায়াতসহ ইসলামপন্থী বিভিন্ন দল ও সংগঠনের হাতে।

অন্যতম প্রধান দল বিএনপি সেই আন্দোলনে অংশ নেয়নি। যদিও আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার যখন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে, এরপর সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, তারা আনন্দিত।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে বিভিন্ন সময় বিএনপি নেতাদের বক্তব্য ছিল, তারা কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নন। ফলে শেষ পর্যন্ত দলটির দোটানা অবস্থান ছিল বলে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন।

তবে রাজনীতির সমীকরণ, লাভ-ক্ষতির আলোচনা যাই হোক না কেন- এমন পটভূমিতে নির্বাচন কবে হবে, সেই প্রশ্নে সন্দেহ বেড়েছে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলে। এমনকি এই দলগুলোর নেতাদের অনেকে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার কথাও বলছেন। রাজনীতিকদের কেউ কেউ বলছেন, বিরাজনীতিকরণের কোনো চেষ্টা হচ্ছে কি না, তাদের মধ্যে এখন এই প্রশ্নেও আলোচনা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রথমে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ কয়েকশো নেতা-কর্মী নিয়ে গত আটই মে বৃহস্পতিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছিলেন।

পরে এনসিপির অন্য শীর্ষ নেতারা এবং জামায়াতসহ ইসলামপন্থী বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর জায়গা পরিবর্তন করে তারা অবস্থান নেন ঢাকার শাহবাগ মোড়ে। সেই আন্দোলনের মুখে শনিবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ জরুরি বৈঠক করে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তের পর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। নিষিদ্ধ করার এই প্রক্রিয়া নিয়েও বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের প্রশ্ন রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.