Header Ads

ভারতের আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড কে || শাহরিয়ার সোহাগ

ভারতের আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড কে, Shahriar Sohag, শাহরিয়ার সোহাগ, romantic bangla poem, bangla poem for love, small bangla poem,

এবার চার দিনের সংঘাতে ভারতের বিরুদ্ধে চমকপ্রদ সাফল্যের কারণে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পাকিস্তান। দেশটির সাহসী ও কৌশলী সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে চলছে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ। ভারতের আকাশসীমায় পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করায় বিশেষভাবে আলোচনায় উঠে এসেছে পাকিস্তান এয়ারফোর্স।

এদিকে যুদ্ধবিরতির পর সোমবার এক বিশেষ সংবাদ সম্মেলনে চার দিনের ‘অপারেশন বুনিয়ান ও মারসুস’-এর বিস্তারিত তুলে ধরে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। এ সময় এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ জানান, ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সাহস, আত্মবিশ্বাস ও নির্ভুল পরিকল্পনার মাধ্যমে জবাব দিয়েছে পাকিস্তান। জিও নিউজের প্রতিবেদনে উঠে আসে, অভিযানের প্রতিটি পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করেছিল, ফলে স্থান, কাল ও পাত্র অনুযায়ী আঘাত হানতে সক্ষম হয় বিমান বাহিনী।

এয়ার ভাইস মার্শালের দাবি অনুযায়ী, অভিযানে ভারতের একাধিক এয়ারফিল্ডে সফলভাবে হামলা চালানো হয়, যা ১৯৭১ সালের পর থেকে একক কোনো অভিযানে সর্বোচ্চ। এসব হামলা সুনিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে সামরিক স্থাপনায় চালানো হওয়ায় বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সাফল্যকে সবসময় ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে ভারত, নিজেরা নিজেদের বিজয়গাথা প্রচার করেছে। তবে এবার ‘নিউ নরমাল’ পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে, কারণ বাস্তব ক্ষয়ক্ষতি ও ধ্বংসের চিত্র গোপন করা সম্ভব নয়।

২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে বীর শহিদ ও অকুতোভয় আন্দোলনকারীদের স্মরণে ও সম্মানে আন্দোলনের প্রেক্ষাপট নিয়ে শাহরিয়ার সোহাগ এর নতুন উপন্যাস বাংলা বসন্ত। অর্ডার করতে ক্লিক করুন

এই সফল অভিযানের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে উঠে এসেছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবরের নাম। আওরঙ্গজেব আহমেদ জানান, বিমান বাহিনীর প্রধান এই অভিযানে তিনটি স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছিলেন— প্রতিরোধ, পুনরুদ্ধার এবং হুমকি ধ্বংস। এই তিনটি দিকেই সাফল্য অর্জন করেছে পাকিস্তান এয়ারফোর্স, যার ফলে ভারতের বিরুদ্ধে স্পষ্ট কৌশলগত বিজয় সম্ভব হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ৭ মে’র প্রথম প্রহরে ভারতীয় যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা চালানোর ঘটনাও তুলে ধরা হয়। সে সময় ইসলামাবাদের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ভারতের একটি রাফাল যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে। পাশাপাশি পশ্চিম সীমান্তেও অভিযান চালানো হয়, যা ভারতীয় বিমান বাহিনীর কৌশলগত স্বাধীনতা সংকুচিত করে দেয়।

এছাড়া আলোচনায় আসে ইসরাইলি প্রযুক্তির ড্রোন হামলার প্রসঙ্গ। আওরঙ্গজেব আহমেদ জানান, ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সময় থেকেই ভারত বেসামরিক এলাকায় ড্রোন হামলার চেষ্টা করে আসছিল, তবে পাকিস্তানের উন্নত রাডার ও জ্যামিং সিস্টেম সেগুলো রুখে দেয়। ফলে অস্ত্রবাহী ড্রোনগুলো কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই যুদ্ধজয়ের পেছনের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে জহির আহমেদ বাবরের নেতৃত্ব ও নির্দেশনাকে কেন্দ্র করেই এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসা চলছে, আর ভারতের সামরিক মনোবলে নেমে এসেছে এক চরম আঘাত।

No comments

Powered by Blogger.