‘হামাস নয়, নেতানিয়াহু ইসরায়েলের আসল শত্রু’ || শাহরিয়ার সোহাগ
তেল আবিবে কয়েক হাজার ইসরায়েলি নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশ করে গাজা যুদ্ধ বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি তারা উপত্যকাটিতে জিম্মি থাকা ইসরায়েলি নাগরিকদের মুক্তি নিশ্চিতের দাবি তুলেছেন। হোস্টেজেস স্কয়ারে ইসরায়েলি সংগঠন হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম তাদের নিয়মিতভাবে তাদের বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করে। এর অংশ হিসেবেই শনিবার ওই সমাবেশ হয়।
এদিকে ইসরায়েলি সেনা সদরদপ্তরের সামনে জিম্মিদের পরিবারের আরেকটি বিক্ষোভ হয়েছে। তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ারেও সরকারবিরোধী একটি আলাদা বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাবিমা স্কয়ারে শাই মোজেস নামে এক জিম্মি পরিবারের সদস্য বলেন, ইসরায়েলের আসল শত্রু হামাস নয় বরং প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, যিনি ইসরায়েলকে একটি ইহুদি ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ধ্বংস করছেন। মোজেস পৃথক বন্দি বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে তার বাবা-মাকে ফিরে পান।
গাজায় আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, নেতানিয়াহু ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে যুদ্ধ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তিনি কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সমঝোতার জন্য প্রস্তুত নন। তিনি বলেন, গাজায় এখনও ৫৯ জন জিম্মি রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫ জনকে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা মৃত বলে ধরে নিচ্ছেন। ২১ জন বেঁচে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর তিনজনের ভাগ্য এখনো অজানা।
ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় তাদের অভিযান জোরদারের পরিকল্পনা করছে এবং এখনই কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির দিকে এগোচ্ছে না। তারা মনে করে, জিম্মিদের মুক্ত করার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সামরিক পদক্ষেপ, তবে বন্দিদের পরিবার সদস্যরা এবং ইসরায়েলি সমাজের বৃহত্তর অংশ তাদের এই মতের সঙ্গে একমত নয়।
নেতানিয়াহু সোমবার গাজা উপত্যকায় একটি সম্প্রসারিত আক্রমণ চালানোর ঘোষণা দেওয়ার পর হোস্টেজেস অ্যান্ড মিসিং ফ্যামিলিজ ফোরাম এক বিবৃতিতে এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করে। হারেৎজ জানায়, বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়েছে। জেরুজালেম, হাইফা, ও বিয়ারশেবাসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থান ও সড়কে বিক্ষোভের প্রস্তুতি চলছে।



No comments