আওয়ামীলীগের ভোট কার বাক্সে || শাহরিয়ার সোহাগ
আগামী নির্বাচন যখনই হোক না কেন, এই নির্বাচনে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দলগতভাবে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিবন্ধন বাতিল করে আইনগতভাবে সেই সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
যদিও ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগ রাজনীতির মাঠে নেই। কারণ এখন সক্রিয় সব দলই তাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব দলের পক্ষ থেকেও আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড চালানোর ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বা প্রশাসনের বাধা, গ্রেফতার অভিযান ও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়তো রয়েছেই।
এখন কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরকার বা প্রশাসনের অভিযান আরও বেড়েছে। ফলে প্রকাশ্যে দলটির পক্ষে কর্মকাণ্ড চালানো বেশ কঠিন। এছাড়া শেখ হাসিনাসহ দলটির নেতাদের বড় অংশ দেশ ছেড়ে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। সারাদেশে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী পালিয়ে আছেন এবং অনেকে গ্রেফতার হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। বিপর্যস্ত দলটির পতনের পর নয় মাসেও তারা সেভাবে বিতর্কিত নয়, এ রকম কোনো নেতাকে দিয়ে দেশের ভেতরে বিকল্প নেতৃত্ব দাঁড় করাতে পারেনি। কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন থেকে বাদ পড়েছে। এখন সহসাই রাজনীতিতে ফেরাটা বেশ কঠিন।
দেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে। এখন আগামী নির্বাচনে কার্যত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এই ভোটাররা কী করবেন, ভোটকেন্দ্রে যাবেন কি না-সে বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। তবে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং এনসিপি ওই ভোটরদের দিকেও নজর রাখছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ও জেলে যাওয়া বা হয়রানির যে সব ঘটনা ঘটছে, এ ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকা নিয়ে আওয়ামী লীগের ভেতরে আলোচনা রয়েছে। সে কারণে আওয়ামী লীগের ভোট বিএনপিকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দলের পক্ষে যায় কি না, এটি বিএনপির জন্য চিন্তার বিষয় হতে পারে। আবার বিএনপির বাক্সেই ওই ভোট যায় কি না, জামায়াত ও এনসিপির এই বিপরীত চিন্তা রয়েছে। এই দলগুলো আওয়ামী লীগের ভোট নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করবে।


No comments